এটি এক মা আর তাঁর সন্তানের গল্প। শৈশবের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে তাঁরা বের করে এনেছেন সেই সব দিনের কথা। সময়টি ১৯২০ থেকে ১৯৭০-এর দশক।
স্মৃতিকথায় ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, ভালোবাসা, ঘৃণা, আবেগ জড়িয়ে থাকে। তার কতটুকুই বা মেলে ধরা যায়। নানান প্রেজুডিসের কারণে অনেক কিছুই প্রকাশ করা হয় না বা যায় না। তারপরও কৌত, হল থাকে। সেসব জানতে আমরা আশ্রয় নিই স্মৃতিকথার। যতটুকু জানা যায়, তাতে হয়তো মন ভরে না। একটা জিজ্ঞাসা মনে আকুলি-বিকুলি করে। আহা, তিনি যদি আরও কিছু লিখে যেতেন।
স্মৃতিকথা ইতিহাস নয়। তবে এতে ইতিহাসের উপাদান থাকে। একটা বিশেষ সময়কে ধরা যায়, ছোঁয়া যায়। বোঝা যায় ওই সময়ের মানুষ ও সমাজকে। এ বইয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে যে জীবন তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে মিলে যেতে পারে আরও অনেকের জীবনকথা। সবারই তো একটা অতীত আছে। সেটা হয়তো ভারি সুন্দর কিংবা ভয়ঙ্কর, আনন্দের অথবা লড়াইয়ের। একেক জনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। কোনোটাই ফ্যালনা নয়। সবগুলোই বাস্তব। সেখান থেকে এক মা আর তাঁর ছেলের শৈশববের কিছু স্মৃতি নিয়ে এ বই।
© জ্ঞানকোষ প্রকাশনী - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Share Now